শোক সংবাদ
কমরেড আজাদ রহমান গত ২৭ মার্চ’২৫ নিউমোনিয়াজনিত রোগে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সংগঠকরা তাঁর বাড়িতে তাঁকে লালপতাকা-সজ্জিত রেড স্যালুট ও শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
তিনি ১৯৬৮ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার বড়নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাধ্যমিকের ছাত্র অবস্থায় নবাবগঞ্জে তৎকালীন মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাও সেতুঙ চিন্তাধারার অনুসারী কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার ও খন্দকার আলী আব্বাসের সাম্যবাদী দলে যোগ দিয়েছিলেন। খন্দকার আলী আব্বাস পরবর্তীতে সংশোধনবাদী লাইন নিলে তিনি টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্বে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগে যোগ দেন। পরে তিনি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগঠন ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’(এনডিএফ)-এ যুক্ত হন। বিভিন্ন দলে যুক্ত হলেও বিপ্লবী রাজনীতির অনুপস্থিতি থাকায় তিনি বার বারই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। কমরেড আজাদ মাওবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বুর্জোয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা উচ্ছেদ করে সমাজতন্ত্র-কমিউনিজম ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বিভিন্ন দলে যুক্ত হয়ে মাওবাদী সঠিক লাইনের সন্ধান করেন। তা না পেয়ে তিনি দীর্ঘ ১০ বছর রাজনীতি থেকে দূরে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হন এবং পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নেন।
সর্বশেষে কিছুদিন তার এলাকার জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে সাম্যবাদী দলে যুক্ত হন। এটাই কমরেডের সারাজীবনের আদর্শের সাথে কিছুটা বিচ্যুতি ছিল। এই বিচ্যুতিসহই তিনি এদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। অবশেষে তিনি মাওবাদের আদর্শিক সংগঠন ‘বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন’-এ যোগ দেন। তাঁর শ্রেণি অবস্থান বিবেচনায় সংগঠন থেকে তাকে ‘নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা’র স্থানীয় সংগঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এক বছর তিনি একজন স্থানীয় সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন।
২৭ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে কমিউনিস্ট আন্দোলন হারালো তার একজন একনিষ্ঠ কর্মীকে। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো গণবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত হননি। এটাই তার চরিত্রের প্রধান দিক। ‘নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা’ কমরেড আজাদ রহমানের অকালমৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে। এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শোক সংবাদ
কমরেড আজাদ রহমান গত ২৭ মার্চ’২৫ নিউমোনিয়াজনিত রোগে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সংগঠকরা তাঁর বাড়িতে তাঁকে লালপতাকা-সজ্জিত রেড স্যালুট ও শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
তিনি ১৯৬৮ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার বড়নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাধ্যমিকের ছাত্র অবস্থায় নবাবগঞ্জে তৎকালীন মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাও সেতুঙ চিন্তাধারার অনুসারী কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার ও খন্দকার আলী আব্বাসের সাম্যবাদী দলে যোগ দিয়েছিলেন। খন্দকার আলী আব্বাস পরবর্তীতে সংশোধনবাদী লাইন নিলে তিনি টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্বে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগে যোগ দেন। পরে তিনি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগঠন ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’(এনডিএফ)-এ যুক্ত হন। বিভিন্ন দলে যুক্ত হলেও বিপ্লবী রাজনীতির অনুপস্থিতি থাকায় তিনি বার বারই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। কমরেড আজাদ মাওবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বুর্জোয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা উচ্ছেদ করে সমাজতন্ত্র-কমিউনিজম ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বিভিন্ন দলে যুক্ত হয়ে মাওবাদী সঠিক লাইনের সন্ধান করেন। তা না পেয়ে তিনি দীর্ঘ ১০ বছর রাজনীতি থেকে দূরে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হন এবং পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নেন।
সর্বশেষে কিছুদিন তার এলাকার জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে সাম্যবাদী দলে যুক্ত হন। এটাই কমরেডের সারাজীবনের আদর্শের সাথে কিছুটা বিচ্যুতি ছিল। এই বিচ্যুতিসহই তিনি এদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। অবশেষে তিনি মাওবাদের আদর্শিক সংগঠন ‘বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন’-এ যোগ দেন। তাঁর শ্রেণি অবস্থান বিবেচনায় সংগঠন থেকে তাকে ‘নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা’র স্থানীয় সংগঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এক বছর তিনি একজন স্থানীয় সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন।
২৭ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে কমিউনিস্ট আন্দোলন হারালো তার একজন একনিষ্ঠ কর্মীকে। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো গণবিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত হননি। এটাই তার চরিত্রের প্রধান দিক। ‘নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা’ কমরেড আজাদ রহমানের অকালমৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে। এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।
আরও খবর
- শনি
 - রোব
 - সোম
 - মঙ্গল
 - বুধ
 - বৃহ
 - শুক্র
 
